,

সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহককে হয়রানির অভিযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: ব্যাংকে সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হন অনেক গ্রাহক। ২০১৮ সালেও হয়রানির শিকার হওয়া গ্রাহাকের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ৫ হাজার ৭৩১ জন গ্রাহক বিভিন্ন প্রকার হায়রানির শিকার হয়ে অভিযোগ করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ করে চেক জালিয়াতি, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ কর্তন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন, স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) অর্থ ফেরত না দেওয়া, স্বীকৃত বিলের মূল্য পরিশোধ না হওয়া, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, রেমিট্যান্স, মোবাইল ব্যাংকিং, ঋণ ও অগ্রিম, নোটস ও কয়েনস, ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবায় হয়রানির অভিযোগ বাড়ছে।
আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা থেকেই টাকা রাখে। অন্যদিকে ব্যাংকের দায়িত্ব সেবা দেওয়া। ব্যাংকিং সেবা হবে গ্রাহকবান্ধব; কিন্তু গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা দুঃখজনক। গ্রাহক হয়রানি বন্ধে অফিসার ও ডেস্কের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

তথ্যমতে, গত বছর সাধারণ ব্যাংকিং সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে ১ হাজার ৯৭২টি, ঋণ এবং অগ্রিম সংক্রান্ত ৭১৩টি, কার্ড সংক্রান্ত ৫০২টি, সার্ভিস সংক্রান্ত ৩৮১টি, রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ৭৮টি, ফি ও চার্জ সংক্রান্ত ৯৮টি, চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত ৩৬টি এবং মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত ১০১টি। জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল গ্রাহক স্বার্থসংরক্ষণ কেন্দ্র (সিআইপিসি) গঠন করে। পরিধি বাড়তে থাকায় পরে একে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস (এফআইসিএসডি) নামে পূর্ণাঙ্গ বিভাগে রূপ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাড়ছে অভিযোগ। ব্যাংকের সেবা পেতে কোনো ধরনের হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হলেই গ্রাহকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডি বিভাগে অভিযোগ করছেন।
আলোচিত সময়ে লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০৪টি, টেলিফোনে আসা অভিযোগ ছিল ৩ হাজার ৫৮টি এবং অনলাইনে প্রাপ্ত অভিযোগ ২৩৩টি। সবকটি অভিযোগের মধ্যে ৫ হাজার ৬৬৫টি অভিযোগই নিষ্পত্তি হয়েছে। যা প্রাপ্ত অভিযোগের ৯৯ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর